বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি
বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।
বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।
এ শহরে এসছো তুমি কবে কোন রাজ্য থেকে
এ শহরে এসছো তুমি কবে কোন রাজ্য থেকে।
তোমাদের দেশে বুঝি সব মানুষই বাঁশি শেখে!
আমাদের স্কুল-কলেজে শেখে লোকে লেখা-পড়া
আমাদের স্কুল-কলেজে শেখে লোকে লেখা-পড়া।
প্রাণে গান নাই মিছে তাই – রবিঠাকুর মুর্তি গড়া।
তোমার ঐ দেহাতী গান.........
তোমার ঐ দেহাতী গান দোলে যখন বাঁশির মুখে,
আমাদের নকল-ভন্ড কৃষ্টি চালায় করাত বুকে
বুকে আর গলায় আমার শহর কলকাতায়।
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।
বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।
ঠেলা ভ্যান চালাও তুমি...
ঠেলা ভ্যান চালাও তুমি কিংবা ভাড়া গাড়ির ক্লিনার
ক’বছরে একবার যাও তোমার দেশের নদীর কিনার।
ফাঁক পেলে বাঁশি বাজাও...
ফাঁক পেলে বাঁশি বাজাও ফেলে আসা ঘরের ডাকে
হেসে গিয়া এমন সুরে হয়ত ডাকো কোলকাতাকে।
ফিরে এসে উদাম খাটো...
ফিরে এসে উদাম খাটো গায় গতরে ব্যস্ত হাতে
মজুরিতে ভাগ বসাচ্ছে কারা তোমার কোলকাতাতে।
তাদেরই গাইয়ে আমি সাজানো জলসায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।
বাঁশুরিয়া...
বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।